চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বদলী নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে শিক্ষক মহলের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পৌরসভার বার্মিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে এ ঘটনা।
সূত্রে জানায়, চকরিয়া উপজেলার ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক বদলীর বিষয়ে চলতি সনের ১০জানুয়ারী বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খুরশিদুল আলম চৌধুরী। সময় বেধে দেওয়া হয় ২২জানুয়ারী পযর্ন্ত। বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে বার্মিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে পদায়ন হতে আবেদন করেন সিনিয়ারেটি অনুযায়ী পাগলিরবিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো: আলমগীর, সওদাগরঘোনা বটতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাহাব উদ্দিন ও কাজিরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির উদ্দিন। তন্মধ্যে আলমগীরকে রিংভং দক্ষিণ পাহাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়, সওদাগরঘোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ৪জন শিক্ষক কর্মরত থাকায় সাহাব উদ্দিনকে ওই বিদ্যালয়েই রাখা হয়েছে। কিন্তু অপর আবেদনকারী জমির উদ্দিনকে বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে বদলীতে কোন ধরণের আইনী সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে বদলী করা হয়নি। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন, বার্মিজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাকিলা খানম লাকিকে গোপন আতাতের বিনিময়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে অস্থায়ী দায়িত্ব দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক কমিশনার মো: জসিম উদ্দিন জানান, তার বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে একজন প্রধান শিক্ষক না দেওয়ায় শিক্ষায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে একাধিকবার বলার পরও কোন ধরণের কর্ণপাত করছেননা।
জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: খুরশীদুল আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে শূন্যপদে শিক্ষক বদলী সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। নিয়ম বিধি অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক দেওয়া হবে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে এধরণের বিধান নেই। তা সম্পূর্ণ উপজেলা শিক্ষা কমিটির এখতিয়ার।
পাঠকের মতামত: